Breaking



Showing posts with label Bengali. Show all posts
Showing posts with label Bengali. Show all posts

Thursday, September 2, 2021

September 02, 2021

ধ্বনি পরিবর্তন PDF 2021।। বাংলা ব্যাকরণ ।। Dhoni poriborton.pdf

 ধ্বনি পরিবর্তন.PDF ।।Dhoni poriborton.pdf || বাংলা ব্যাকরণ | Bengali grammar

 

ধ্বনি পরিবর্তন.PDF ।।Dhoni poriborton.pdf || বাংলা ব্যাকরণ | Bengali grammar
 ধ্বনি পরিবর্তন.PDF ।।Dhoni poriborton.pdf |বাংলা ব্যাকরণ | Bengali grammar

প্রিয়, ছাত্র-ছাত্রী

তোমাদের কাছে আজ শেয়ার করছি  বাংলা  ব্যাকরণ থেকে নির্বাচিত বিষয় ধ্বনি পরিরর্তন (PDF)  যা  খুব  সহজ করে উদাহারন সহ আলোচনা করা হয়েছে , প্রতিটি বিষয় পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে তুলে ধরা হয়েছে  এবং  বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার ক্ষেত্রে এই গুলি বিশেষ ভাবে গুরুত্বপূর্ণ  যেমন - SSC ,TET,WBCS... ect  এবং তোমদের পরীক্ষার প্রস্তুতিকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে যথেষ্ট সাহায্য করবে ।  


 তোমাদের সকলকে জানাই আমাদের পক্ষ থেকে অসংখ্য ধন্যবাদ ,  তোমরা সর্বদা আমাদের পাশে  থাকো এবং  বন্ধুদের কাছে শেয়ার করো ও তোমাদের মতামত কমেন্ট করে আমাদেরকে জানাও। 

নমুনা দেওয়া হলঃ

ধ্বনি পরিবর্তন

 স্বরধ্বনি ঘটিত পরিবর্তন :

(১) স্বরভক্তি(similation) :

ছন্দ ও সুরের প্রয়োজনে অর্থাৎ চলিত ভাষায় সহজ করে উচ্চারণের প্রবণতা থেকে সংযুক্ত ব্যঞ্জনকে ভেঙে তাঁর মাঝখানে স্বরধ্বনি আনয়নের রীতিকে ধ্বনিতত্ত্বে স্বরভক্তি বা বিপ্রকর্ষ বা মধ্যস্বরাগম বলা হয় । উদাহরণ - ভকতি>ভক্তি(ভ্‌+অ+ক্‌+ত্‌+ই>ভ্‌+অ+ক্‌+অ+ত্‌+ই)।

 ‘ভক্তি’ শব্দের অর্থ হল ‘বিভাজন’ । স্বরভক্তি শব্দের অর্থ হল ‘স্বর সহযোগে বিভাজন’ । ( ব্যাকরণে ধ্বনিতত্ত্বের আলোচনা প্রসঙ্গে স্বরভক্তির আর যে যে প্রতিশব্দ ব্যবহার করা হয় তা হল মধ্যস্বরাগম ও বিপ্রকর্ষ ।

 স্বরভক্তির প্রয়োজন :

 i) উচ্চারণ প্রযত্ন লাঘব করার জন্য ।

 ii) অনভ্যস্ত ধ্বনিগুলোকে সরল করার জন্য ।

 iii) কবিতার ছন্দমাধুর্য ও সুর মাধুর্য রক্ষা করার জন্য ।  

iv) তৎসম ও বিদেশি শব্দের যুক্ত ব্যঞ্জনধ্বনিকে ভেঙে  সহজ ও শ্রুতিমধুর করার জন্য ।   

বিপ্রকর্ষ : বিপ্রকর্ষ শব্দটির সাধারণ অর্থ দূরবর্তী হওয়া । স্বরভক্তিতে সংযুক্ত ব্যঞ্জনধ্বনির মাঝখানে স্বরধ্বনি এসে ব্যবধান সৃষ্টি করে বলে এর অপর নাম বিপ্রকর্ষ । বি-প্র-কৃষ্‌(বিশেষ রূপে প্রকৃষ্ঠভাবে সৌকর্ষ সৃষ্টি)।

বৈষ্ণব পদাবলী চন্ডীমঙ্গল, মনসামঙ্গল, ময়মনসিংহ গীতিকা ও শ্রীকৃষ্ণ কীর্তনে স্বরভক্তির বহুল প্রয়োগ লক্ষকরা যায় । দুটি উদাহরণ –

i) অমিয় সাগরে সিনান করিতে সকলি গরল ভেল। (বৈ.প)

 ii) কেনা বাঁশী বাএ বড়ায়ি চিত্তের হরিষে(শ্রীকৃষ্ণকীর্তন) । 

iii) তোহারি গরবে গরবিনী হাম । (বৈষ্ণব পদাবলী) ।

স্বরভক্তির দৃষ্টান্ত :

(ক) ‘অ’-এর আগম : কর্ম>করম, মর্ম>মরম, বর্ষ>বরষ, গর্ব>গরব, প্রাণ>পরাণ, হর্ষ>হরষ, রত্ন>রতন, ধর্ম>ধরম, স্বপ্পন>স্বপন, জন্ম>জনম, লগ্ন>লগন, মগ্ন>মগন, প্রসাদ>পরসসাদ, বর্ষিল>বরষিল, নির্জন>নিরজন, দর্শন>দরশন, মূর্তি>মুরতি, চন্দ্র>চন্দর, নির্জন>নিরজন, গর্জন>গরজন, পূর্ব>পুরব, সূর্য>সুরজ, ধৈর্য>ধৈরজ, প্রতাপ>পরতাপ, নির্মল>নিরমল, ভদ্র>ভদ্দর, মুক্তি>মুকতি, নির্মিল>নিরমিল, ভক্তি>ভকতি, মুগ্ধ>মুগধ, লুব্ধ>লুবধ । মর্দ(ফা)>মরদ, গার্ড্‌(ইং)>গারদ, শর্ম্‌(ফা)>শরম, নর্ম্‌(ফা)>নরম ইত্যাদি । 

(খ)‘ই’কারেরআগমঃপ্রীতি>পিরীতি,স্নান>সিনান,শ্রী>শিরি(বিপ্রকর্ষ)>ছিরি(উষ্মধ্বনি‘শ’>ঘৃষ্টধ্বনি‘শ’ঘৃষ্টিভবন),হর্ষ>হরিষ,মিত্র>মিত্তির,তৃপ্ত>তিরপিত,বর্ষণ>বরিষণ,ত্রিশ>তিরিশ,ফিক্র>ফিকির,জিক্র>জিকির,জিন্‌স্‌>জিনিস,ফিল্ম>ফিলিম,ক্লিপ>কিলিপ, নির্‌খ্‌>নিরিখ ।

(গ) ‘উ’ -কারের আগম : মুক্তা>মুকুতা, ভ্রূ>ভুরু, দুর্জন>দুরুজন, পদ্মিনী>পদুমিনি, পুত্র>পুত্তুর, শুদ্র>শুদ্দুর, রৌদ্র>রোদ্দুর, শুক্র>শুক্কুর, বুর্জ>বুরুজ, মুল্ক>মুলুক, ব্রুশ>বুরুশ, ব্লু>বুলু, দুর্যোগ>দুরুযোগ ।

(ঘ) ‘এ’-কারের আগম : ধ্যান>ধেয়ান, ব্যাকুল>বেয়াকুল, ভ্রম>ভেরম, গ্রাম>গেরাম, শ্রাদ্ধ>ছেরাদ্ধ, প্রণাম>পেরনাম, গ্লাস>গেলাস, ক্লাস>কেলাস, সির্ফ্‌>সেরেফ, প্রেগু>পেরেক, ব্ল্যাক>বেলাক, ট্রেন>টেরেন, ট্রাম>টেরাম ইত্যাদি ।

(ঙ) ‘অ’-কারের আগম : শ্লোক>শোলোক, চন্দ্র>চন্দোর, চক্র>চক্কোর, স্লো>সোলো, মুর্গ>মোরগ ।


 (চ) ‘ঋ’-কার যুক্ত শব্দে : তৃপ্ত>তিরপিত, কৃপা>কিরিপা, সৃজিল>সিরজিল । 

(২) স্বরাগম (sound addition) :

 উচ্চারণের সুবিধার জন্য শব্দের প্রথমে, মাঝে কিংবা শেষে স্বরধ্বনির আগম হলে, তাকে বলা হয় স্বরাগম । ‘স্বরাগম’(sound addition) তিন রীতিতে হয় । তাই স্বরাগম তিন প্রকার –

 (ক) আদি স্বরাগম ।

 (খ) মধ্যস্বরাগম ।

 (গ) অন্ত্যস্বরাগম ।

 (ক) আদিস্বরাগম : যুক্ত ব্যঞ্জনবর্ণের পূর্বে শব্দের আদিতে যখন স্বরের আগম ঘটে তখন তাকে বলে আদি স্বরাগম । যেমন – স্পর্ধা>আস্পর্ধা, স্টেবল>আস্তাবল, স্টেশন>ইস্টিশন, স্টিমার>ইস্টিমার, স্কুল>ইস্কুল, স্পিরিট>ইস্পিরিট, স্ত্রী>ইস্ত্রী, স্টেট>এস্টেট, । ইংরেজি শব্দ থেকে আদি স্বরাগম বেশি ঘটে ।

 (খ) মধ্যস্বরাগম : উচ্চারণের সুবিধার জন্যে শব্দের মধ্যে স্বরের আগমন ঘটলে তাকে বলে মধ্যস্বরাগম । যেমন- নয়ন>নয়ান, বয়ন>বয়ান, চাকরি>চাকুরি, ফুলস্টপ>ফুলুস্টপ, ফ্লুট>ফুলুট বিপ্রকর্ষের সমস্ত উদাহরণ ।  

(গ) অ্যন্তস্বরাগম : যুক্তবর্ণের পরে শব্দের শেষে স্বরের আগম ঘটলে তাকে বলা হয় অন্ত্যস্বরাগম ।যেমন- ইঞ্চ>ইঞ্চি, বেঞ্চ>বিঞ্চি,ধন্য>ধন্যি, সত্য>সত্যি, পথ্য>পথ্যি, নস্য>নস্যি, গন্য>গন্যি,মান্য>মান্যি, চুল>চুলি, দুষ্ট>দুষ্টু, লিস্ট>লিস্টি, হাজির>হাজিরা, কড়া>কড়াই, জমাট>জমাটি ।


 (৩) স্বরলোপ(Haplology) : উচ্চারণের বিবর্তনে যখন কোনো শব্দের আদিতে, মধ্যে বা অন্তে স্বরধ্বনি লোপ পায়, তখন তাকে স্বরলোপ বলে ।

(ক) আদি স্বরলোপ : শব্দের প্রথম স্বরধ্বনি লুপ্ত হলে তাকে আদি স্বরলোপ বলে । যেমন – অলাবু>লাবু>লাউ, অপিধান>পিধান, অতসী>তিসি, অভ্যন্তর>ভিতর, 

আনোনা>নোনা, উদ্ধার>উধার>ধার, উড়ুম্বর>ডুমুর, অঝা>ঝা, আছিল>ছিল ইত্যাদি । এনোনা(পোর্তুগিজ)>নোনা ।

(খ) মধ্যস্বরলোপ : শব্দের মধ্যস্থ স্বরধ্বনি লোপ পেলে তাকে মধ্যস্বরলোপ বলে । নাতিনী>নাতনী, ভগিনি>ভগ্নি, জানালা>জানলা, গামোছা>গামছা, বসতি>বস্তি, কলিকাতা>কলকাতা, ডাকাইত>ডাকাত, সুবর্ণ>সর্ণ, তৈয়ারি>তৈরি ইত্যাদি ।

(গ) অন্ত্যস্বরলোপ : শব্দের শেষে স্বরধ্বনি লোপ পেলে তাকে অন্ত্যস্বরলোপ বলে । যেমন- আজি>আজ, রাশি>রাশ, ফাঁসি>ফাঁস, হাতিশালা>হাতিশাল, লজ্জা>লাজ, গঙ্গা>গাঙ, বন্যা>বান,সজ্জা>সাজ, পোকা>পোক, জোনাকি>জোনাক, সন্ধ্যা>সাঁঝ, রাতি>রাত ইত্যাদি ।

 সম্প্রকর্ষ : শব্দমধ্যস্থ স্বরবর্ণ লোপ পেলে তাকে সম্প্রকর্ষ বলে । এটি বিপ্রকর্ষের বিপরীত পক্রিয়া ।যেমন – জানালা>জানলা, ভগিনি>ভগ্নী  ।

  বিপ্রকর্ষ ও সম্প্রকর্ষের তুলন : (i) উভয় পদ্ধতিই উচ্চারণের সরলীকান্ত দৃষ্টান্ত । (ii) বিপ্রকর্ষ সংযুক্তব্যঞ্জনকে ভেঙে মাঝে স্বরধ্বনি অনায়ন করে । যেমন - রত্ন>রতন, স্নাপ>সিনান । সম্প্রকর্ষ বিপ্রকর্ষের সম্পূর্ণ বিপরীত পদ্ধতি । এই পদ্ধতি শব্দমধ্যস্থ স্বরবর্ণের লোপ ঘটিয়ে দুইব্যঞ্জনকে নিকটবর্তী করে । যেমন-নাতিনি>নাতনী, বসতি>বস্তি ইত্যাদি ।

(4) অপনিহিতি(Epenthesis) :

        অনেক সময় শব্দের মধ্যে ‘ই’-কার বা ‘উ’-কার থাকলে, সেটি যে ব্যঞ্জনের সঙ্গে যুক্ত আছে তাঁর পূর্বে এসে উচ্চারিত হয় । এছাড়া শব্দে ‘য’-ফলা যুক্ত হয়ে ব্যঞ্জনা বা ‘ক্ষ’ বা ‘জ্ঞ’ থাকলে তাঁর আগে অনেকসময় একটা অতিরিক্ত ‘ই’ উচ্চারিত  হয় । এই উভয় পক্রিয়াকে অপিনিহিতি বলে । যেমন –


 আজি>আইজ, (আ+জ্‌+ই>আ+ই+জ্‌), সভ্য> সইভ্য, বক্ষ>বইক্ষ, জজ্ঞ>জইজ্ঞ, আজ্ঞা>আইজ্ঞা, মান্য>মাইন্য, কাব্য>কাইব্য, কন্যা>কইন্যা, করিয়া>কইর‍্যা, 

রাখিয়া>রাখিয়্যা, আশু>আউশ, সাধু>সাউধ, মাছুয়া>মাউছুয়া>মাউছা,রাতি>রাইত, কালি>কাইল, চারি>চাইর, গাঁঠি>গাঁইঠ, কাচি>কাঁইচি, গাঁতি>গাঁইতি কলিকাতা>কইলকাতা, নাটুয়া>নাউটুয়া,। সাথুয়া>সাউথুয়া, গাছয়া>গাউছয়া, জলুয়া>জউলুয়া, ভাতুয়া>ভাউতুয়া,নারিকেল>নাইরকল,চক্ষু>চউখ্‌, মাসুয়া>মাউসা, কার্য>কাইরয, জ্বালিয়া>জ্বাইল্যা, বানিয়া>বাইন্যা, মাটি>মাইট্যা, বাহ্য>বাইজ্‌ঝ প্রভৃতি ।

         ‘অপনিহিতি’ শব্দের অর্থ হল পূর্বে স্থাপন বা পূর্বে বসা । ( অপনিহিতির নামকরণ করেন ডঃ সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় । বাংলায় বঙ্গালী উপভাষায় অপনিহিতির প্রাধ্যান্য পরিলক্ষিত হয় । ( কোচবিহার, জলপাইগুরি, দক্ষিণচব্বিশ পরগনার অঞ্চল বিশেষে, বীরভূম ও পুরুলিয়ার ক্রিয়দংশে অপনিহিতির প্রচলন লক্ষ করা যায় । অপনিহিতির বাক্যে প্রয়োগ – 

(I) ‘কার সঙ্গে দ্বন্দ্ব কইর‍্যা চক্ষু কইলা রাতা।’(চন্ডিমঙ্গল-মুকুন্দ চক্রবর্তী) ।

(ii) ‘তুমি হউ গহীন গাঙ্‌ আমি ডুইব্যা মরি।’ ময়মন সিংহ গীতিকা ।

(৫) অভিশ্রুতি(Vowel Mutation) :

অপিনিহিতি জাত’-কার বা’-কার সন্ধির বিশেষ নিয়মানুসারে যখন পূর্ববর্তী স্বরধ্বনির সঙ্গে মিলিত হয়ে রূপের পরিবর্তন  ঘটায় তখন তাকে অভিশ্রুতি বলে।যেমনকরিয়া>কইরা(+অ্যা=)=করে,আসিয়া>আইস্যা>এসে,রাখিয়া>রাইখ্যা>রেখে,বানিয়া>বাইন্যা>বেনে,মাটিয়া>মাইত্যা>মেটে,ভাবিয়া>ভাইব্যা>ভেবে, বাদিয়া>বাইদ্যা>বেদে,কন্যা>কইন্যা>কনে, জালিয়া>জাইলা>জেলে, হারিয়া>হাইরয়া>হেরে, শুনিয়া>শুইন্যা>শুনে, চলিয়া>চইল্যা>চলে, ফিরিয়া>ফিইরয়া >ফিরে, জলুয়া>জউলা>জলো, মাসুয়া>মাউসা>মেসো, গাছুয়া>গাউছা>গেছে, পড়ুয়া>পইড়া>পড়ো, মাঠুয়া>মাউঠা>মেঠো, বাতুয়া> বাউতা>বেতো, কালুয়া>কাউলা>কেলো, মাছুয়া>মাউছা>মেছো, পটুয়া>পউটা>পোটো ইত্যাদি  


File Details:

PDF Name : ধ্বনি পরিবর্তন PDF
Language : Bengali
Size : 676 KB
No. of Pages :18
Download Link : Click Here To Download
 

বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করো : 

 


Wednesday, February 17, 2021

February 17, 2021

বিভিন্ন কারক সম্পর্কে পরিচয় (বাংলা ব্যাকরণ) PDF

 
বিভিন্ন কারক সম্পর্কে পরিচয় (বাংলা ব্যাকরণ)  PDF
বিভিন্ন কারক সম্পর্কে পরিচয় (বাংলা ব্যাকরণ)  PDF



 নমস্কার বন্ধুরা, 

আপনাদের কাছে আজ শেয়ার করছি  বাংলা ব্যাকরণ থেকে সহজ পদ্ধতিতে কারক সম্পর্কে পরিচয়    (PDF ) আশা করি আপনারা খুব উপকৃত হবেন। বিভিন্ন প্রতিযোগিতার পরীক্ষার ক্ষেত্রে খুবই উপযোগী ।

 আপনাদের সকলকে জানাই আমাদের পক্ষ থেকে অসংখ্য ধন্যবাদ , আপনারা সর্বদা আমাদের পাশে থাকুন এবং আপনাদের বন্ধুদের কাছে শেয়ার করুন ও আপনাদের মতামত কমেন্ট করে আমাদেরকে জানান।

                         বিভিন্ন কারক সম্পর্কে পরিচয় 

  ক্রিয়াপদের সঙ্গে বাক্যের অন্যান্য পদের সম্বন্ধকেই কারক বলে। নীচের বাক্যটি দেখো -

  হর্ষবর্ধন রাজকোষ থেকে ধনরত্ন নিয়ে দরবারে স্বহস্তে দরিদ্রদের দান করতেন।

ওপরের বাক্যটির সমাপিকা ক্রিয়া হল - দান করতেন।

এই দান করতেনক্রিয়াপদটির সঙ্গে বাক্যের প্রত্যেকটি পদেরই সন্বন্ধ রয়েছে।

প্রশ্ন

উত্তর

সম্বন্ধ

কে দান করতেন ?

                    হর্ষবর্ধন

কর্তা-সম্বন্ধ

কী দান করতেন ?

ধনরত্ন

কর্ম-সম্বন্ধ

কিসের দ্বারা দান করতেন ?

স্বহস্তে

করণ-সম্বন্ধ

কাদের দান করতেন ?

দরিদ্রদের

সম্প্ৰ দান-সম্বন্ধ

কোথা থেকে নিয়ে দান করতেন ?

রাজকোষ থেকে

অপাদান-সম্বন্ধ

কোথায় দান করতেন ?

দরবারে

অধিকরণ-সম্বন্ধ












কারক ছরকমের - ১) কর্তৃ , ২) কর্ম, ৩) করণ, ৪) সম্প্ৰ দান , ৫) অপাদান ও ৬) অধিকরণ।

 কর্তৃকারক : যে পদ কাজ নিষ্পন্ন করে তাকে কর্তৃকারক বলে। যেমন - কমল বই পড়ে। কুকুরটি শুয়ে আছে। মানস গান করে ইতাদি ।

কী শুয়ে আছে ? - কুকুরটি। কে গান করে ? - মানস।

অতএব কমল, কুকুরটি, মানস'- এরা সকলেই বাক্যের কর্তা, তাই এরা কর্তৃকারক।

 কর্মকারক:ক্রিয়ার সঙ্গে যে পদের কর্ম-সম্বন্ধ থাকে তাকে কর্মকারক বলে। যেমন - বাপী বই পড়ে। মৌ তাকে পড়ায়। তন্ময় ছবি আঁকে।

বাপী কি পড়ে ? - বই। মৌ কাকে পড়ায় ? তাকে। তন্ময় কী আঁকে ?, ছবি।

এখানে বই, তাকে, ছবি - কর্মকারক।

 করণ কারক : কর্তা যার সাহায্যে কাজটি সম্পাদন করে তাকে করণকারক বলে।যেমন -  আমরা কলম দিয়ে লিখি। সে তুলি দিয়ে ছবি আঁকে।

এখানে কলম ও তুলি দিয়ে আমরা , তুমি , এই কর্তারা কাজ সম্পাদন করছে। সুতরাং কলম ও তুলি

এখানে করণ কারক।

 সম্প্রদান কারক : কর্তা যাকে নিঃস্বার্থভাবে কিছু দেন , তাকে সম্প্ৰ দান কারক বলে। যেমন -  ক্ষুধার্তকে অন্ন দাও। দরিদ্রকে বস্ত্র দাও।

কাকে অন্ন দাও ? – ক্ষুধার্তকে ।কাকে বস্ত্র দাও ? - দরিদ্রকে এখানে ক্ষুধার্তকে ও দরিদ্রকে সম্প্রদান কারক।

দোকানদারকে পয়সা দাও। এধরনের বাক্যে দোকানদারকে সম্প্রদান কারক হবে না। কারণ, এখানে

নিঃস্বার্থভাবে দান করা বোঝাচ্ছে না। বিনিময়ে দেওয়া বোঝাচ্ছে।

  অপাদান কারক : যে পদের দ্বারা কোনও কিছু থেকে চ্যুত, ভীত, উৎপন্ন, প্রাপ্ত ইত্যাদি  বোঝায় তাকে অপাদান কারক বলে। যেমন -মেঘ থেকে বৃষ্টি পড়ে। গাছ থেকে ফল পড়ে। বিপদ থেকে রক্ষা করো।

কোথা থেকে বৃষ্টি পড়ে ? - মেঘ থেকে। কোথা থেকে ফল পড়ে ? - গাছ থেকে।

কিসের থেকে রক্ষা করো ? - বিপদ থেকে।

মেঘ থেকে , গাছ থেকে, বিপদ থেকে এগুলি হল অপাদান কারক।

অনেক সময় থেকে কথাটি ব্যবহার না করেই বাক্য রচনা হতে পারে। যেমন - বাঘকে কে না ভয় পায় ?

 অধিকরণ কারক : যেখানে বা যে সময়ে কাজটি হয়, ক্রিয়ার সেই আধারকে অধিকরণ কারক বলে। যেমন -

 নদীতে মাছ আছে। বনে বাঘ আছে। গর্তে সাপ আছে।

কোথায় মাছ আছে ? - নদীতে। কোথায় বাঘ থাকে ? - বনে। কোথায় সাপ থাকে ? - গর্তে।

এখানে এই নদীতে, বনে ও গর্তে পদগুলি অধিকরণ কারক। তে, , য় এই গুলি অধিকরণ কারকের চিহ্ন।

 সম্বন্ধ,পদ : পাশাপাশি অবস্থিত বিশেষ্য পদ ও সর্বনাম পদের সঙ্গে সম্বন্ধ বোঝালে সম্বন্ধ পদ হয়।

যেমন -এটি আমার বই। রামের ছাতাটি সুন্দর। তার পেনটি হারিয়েছে।

 এখানে আমার, রামের, তার পদগুলি সম্বন্ধ পদ।

 নিমিত্ত সম্বন্ধ : যে পদের ক্রিয়ার সঙ্গে কোনও সম্বন্ধ থাকে না, কিন্তু কোনও বিশেষ্য বা সর্বনাম

পদের সঙ্গে সম্বন্ধ থাকে তাকে সম্বন্ধ পদ বলে। যেমন – খেলার(খেলার নিমিত্ত); মাঠ এখন কাদায় ভরা।

 লেখার (লেখার নিমিত্ত) টেবিলটি সরাও।

মনে রাখবে ক্রিয়ার সঙ্গে সম্বন্ধ না থাকার জন্য সম্বন্ধ পদ কারক নয়।।


File Details :

PDF Name :  বিভিন্ন কারক সম্পর্কে পরিচয় (বাংলা ব্যাকরণ)  PDF

Language : Bengali 

Size: 1.0 MB

Download link : Click Here To Downloads 

আমাদের  এই সবে মাত্র  নতুন পথ চলা ,আপনারা আমাদের সাইটে সর্বদা  ভিজিট করুন ও বন্ধুদের কাছে  বেশি বেশি শেয়ার করুন । যাতে করে সবার কাছে এই পোস্টটি পৌঁছে যায় ।

বি:দ্র-  পরবর্তী সময়ে সমস্ত বিষয়ের PDF ফাইল আপলোড করা হবে ।

➤আপনারা আমাদের Telegram Channel এ Link কে গিয়ে Join হয়ে যান, যে কোনো স্টাডি মেটেরিয়াল সবার আগে পাওয়ার জন্য